পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার। ফজরের নামাজ শেষে কাবা শরীফ তাওয়াফ করে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন মুসল্লিরা। করোনার কারণে ছোয়া যাবে না কাবাঘর, কালো পাথরে চুমু খাওয়াও এবার নিষিদ্ধ। নামাজ পড়ার জন্য আনতে হবে নিজস্ব জায়নামাজ।
ইসলামের বিধান মোতাবেক, মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি (অনেকেই মিনায় না পারলে মক্কায় ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দেন), মাথা ন্যাড়া করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত।
করোনার কারণে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি আরব। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ বার জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে কাবাঘর ও আশেপাশের স্থানগুলো। ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মী এসব কাজে নিয়োজিত। হজের জন্য নির্দিষ্ট অন্যান্য শহরগুলোর পরিচ্ছন্নতার জন্যেও রয়েছেন ১৩ হাজার কর্মী।
এবার হজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের ৭০ ভাগই প্রবাসী; বাকি ৩০ শতাংশ দেশটির নাগরিক। হাজীদের সব খরচ দিচ্ছে সৌদি সরকার। হজের দ্বিতীয় দিন আরাফাত ময়দানের খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনূদিত হবে। এদিকে জমজমের পানি বোতলে করে সরবরাহ করা হবে হাজীদের।