বাংলাদেশসহ সাধারণত এই উপমহাদেশে সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ হয়। অবশ্য শরীয়তপুর মাদারীপুর, ফরিদপুর, দিনাজপুর, চাঁদপুর ও ভোলাসহ কয়েকটি জেলার কিছু পীরপন্থী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদ করে থাকে।
হিজরি সাল অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। ঈদুল আজহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কোরবানির ঈদ’ বা ‘বকরি ঈদ’ নামেও পরিচিত।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কোরবানি দিয়ে থাকেন। হজরত ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে তার প্রিয় বস্তু কোরবানিতে আল্লাহর নির্দেশ পেয়েছিলেন।
পরপর দুবার তিনি পশু কোরবানি করেন। তৃতীয়বার একই নির্দেশ পেয়ে তিনি অনুধাবন করেন পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর চেয়ে প্রিয় তার কিছু নেই। আল্লাহ তাকেই কোরবানি করতে নির্দেশ দিচ্ছেন।
হজরত ইবরাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর নির্দেশ জানালেন। শিশু ইসমাইল (আ.) নির্ভয়চিত্তে সম্মতি দিয়ে বাবাকে আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পালন করতে বলেন। কোরবানি করতে উদ্যত হজরত ইবরাহিম (আ.) পুত্রস্নেহে যেন হৃদয় দুর্বল না হয়ে পড়ে, সে জন্য চোখ বেঁধে নিয়ে পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন।
আল্লাহতায়ালার অপার কুদরতে এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এরপর থেকে ইবরাহিম (আ.)-এর উম্মতরা কোরবানি করে আসছেন।
কোরবানি দেওয়া আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ওয়াজিব। যাদের ওপর জাকাত ফরজ, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।
এছাড়া ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলেও পরের দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি দেওয়া যায়। সাধারণত উট, দুম্বা, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কোরবানি করা হয়।