দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং দ্য চায়না ফেডারেশন অব লজিস্টিকস অ্যান্ড পারসেসিং এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন ক্রয়াদেশের পয়েন্ট ৫১ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ দশমিক ৭। এছাড়া নতুন রফতানি আদেশ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশে।
দ্য চায়না ফেডারেশন অব লজিস্টিকস অ্যান্ড পারসেসিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব পরিসংখ্যান চীনের অর্থনীতি যে ফের গতি ফিরে পাচ্ছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অথচ চীন থেকেই গত ডিসেম্বরে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হলে এর বিস্তার ঠেকাতে প্রথম দেশ হিসেবে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
কিন্তু মার্চে চীন সরকার ভাইরাসটি প্রতিরোধ সফল হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম ফের সচল হতে শুরু করে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) অপ্রত্যাশিতভাবে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। অবশ্য প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়।
দেশটির উৎপাদন কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক অবস্থার কাছাকাছি প্রায়। তবে খুচরা ব্যবসা ও রেস্তোরাঁ ছাড়াও সেবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতগুলো এখনও সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিচ্ছে, মাস্ক, সার্জিক্যাল গ্লাভসসহ অন্যন্যা চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা কমলে আগামীতে রফতানি হ্রাস পাবে।