বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কমিশন সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের কারণ চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কমিশন একটি তদন্ত টিম গঠন করে।
তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পায়। অনুসন্ধানে উঠে আসে বিবিএস ক্যাবলস ও এর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মার্কেট ম্যানুপুলেশন, ইনসাইডার ট্রেন্ডিং ও যথাসময়ে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ না করা মতো অপরাধ করে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানা করা হয়েছে।এজন্য বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যানের স্ত্রী খাদিজা তাহেরাকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আব্দুল কাইয়ুম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বিবিএস ক্যাবলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নোমান হাওলাদারকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভাই আবু নাইম হাওলাদারকে ১০ লাখ টাকা এবং তার শালা ফরহাদ হোসেনকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিবিএস ক্যাবলসের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত) ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজ প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটালকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কবির আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মো. নজরুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সৈয়দ আনিসুর রহমানকে ২৫ লাখ টাকা ও হাসান জামিলকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মনোনীত পরিচালক সৈয়দ ফেরদৌস রায়হান কিরমানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারসাজি করায় অপরাধে এর আগে এমন বড় জরিমানা সাধারণত করা হয়নি। নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে শুরু থেকেই অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অবস্থান অব্যাহত থাকলে বাজারে শিগগির সুশাসন ফিরে আসবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক পরিচালক বলেন, বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ারের কারসাজির কারণে বিএসইসি রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা করেছে। পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএসইসির এই পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক। কারসাজিকারীদের জন্য এর মাধ্যমে কড়া বার্তা গেল। এর ফলে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে।