মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সমাজ এবং ব্যক্তিজীবনে ইসলামের সঠিক চর্চা করতে পারলে অপরাধ কমে যাবে, মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা বাড়বে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একটি মুসলিম সেন্টার থেকে যেন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের চর্চা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর গবেষণালব্ধ উত্তর পেতে পারেন সেটার চেষ্টা করছি আমরা। এছাড়া বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
ওয়েবসাইটের লিংকের মাধ্যমে www.muslimresearchcentre.com/dua সহজেই সবাই পড়তে ও জানতে পারবেন দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চাররা প্রতিনিয়ত লিখবেন সমসাময়িক ইস্যুর ওপর জরুরি মাসায়েল, যা পাঠক ঘরে বসেই ওয়েবসাইটের ব্লগ সেকশনে- www.muslimresearchcentre.com/blog পেয়ে যাবেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের পেজে কোরআনের বাছাইকৃত আয়াত সহজ অর্থে প্রচার শুরু করেছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। একই সঙ্গে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কোরবানি এবং নবির (সা.) সুন্নতের মতো বিষয়গুলোতে মানুষের করণীয় সর্ম্পকেও কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা প্রচার করছে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই এই ব্যাখ্যাগুলো www.facebook.com/MuslimResearchCentre পেজে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঢাকার গুলশানে সঠিক নিয়মে কোরআন শিক্ষার উদ্যোগের পাশাপাশি একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। সম্পূর্ণ আধুনিক উপায়ে কোরআন শিক্ষা ও হেফজখানাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল। বর্তমানে আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল গুলশানে একটি মসজিদে খতিব ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া কোরআন এবং হাদিসের ওপর উন্নতর গবেষণার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে ইসলামিক রিসার্চার নিয়োগ দিচ্ছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। একই সাথে কীভাবে নবি করিম (সা.) এর নির্দেশিত পথে মুসলিমরা জীবন যাপন করতে পারেন সেটি নিয়েও কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মরদেহ দাফনেও কাজ শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠান।