সোভিয়েত ইউনিয়ন উৎক্ষেপিত বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক ১’-এর নামানুসারে রাশিয়া তাদের প্রথম কোভিড-১৯ টিকাটির নাম দিয়েছে ‘স্পুটনিক ৫’ বা ‘স্পুটনিক ভি’।
রাশিয়া সরকার ভ্যাকসিনটি কার্যকর বলে দাবি করছে এবং বিজ্ঞানীরা দুমাস ধরে ক্ষুদ্র পরিসরে মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করে চলেছে। এর ফল এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমায়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। তাদের সঙ্গে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সহযোগিতা ছিল।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬৫টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। এ ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাইরাল-ভেক্টর ভিত্তিক ভ্যাকসিন, ভাইরাল-ভিত্তিক, নিউক্লিয়ার অ্যাসিড ভিত্তিক ও প্রোটিন ভিত্তিক ভ্যাকসিন। রাশিয়ান অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর-ভিত্তিক ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিনটি গত ১১ আগস্ট রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছিল। এটি বাজারে প্রথম নিবন্ধিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
সারাবিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ করোনার এই ভ্যাকসিন কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। ভ্যাকসিনটির কয়েক লাখ ডোজ উৎপাদন করার পরিকল্পনা চলছে, যা শুরু হয়ে গেছে। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, শিক্ষক এবং অন্যান্য সম্মুখ সারির কর্মীদের জন্য ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন ডোজের প্রথম ব্যাচটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়েকে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া হয়। এই ভ্যাকসিন বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলছে রাশিয়ার সরকার।