রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ডাউন লাইনে ঘুড়ি আটকে গেছে। সেখানে আমাদের লোক ঘুরি সরানোর কাজ করছে। এটা ছাড়ানো ছাড়া তো আর ওই লাইনে ট্রেন পরিচালনা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও জানান, শেষ রাতের দিকে বা সকালে এই ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আপাতত আপ লাইন (আগারগাঁও থেকে উত্তরা) দিয়ে উভয়পথের মেট্রো ট্রেন পরিচালনা করছি। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল এন্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান বলেন, মেট্রোরেলের উপরে হ্যাঙ্গারের মতো একটি ডিভাইস আছে, যেটি তারের সঙ্গে টাচ করে সামনে যেতে থাকে। এছাড়া উপরের তারে ১৫০০ ভোল্টের মতো ইলেক্ট্রিসিটি থাকে। এই ডিভাইসটার মাধ্যমে সেই ডিভাইসটি তার থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে এগিয়ে চলে ট্রেনটি। এই দুইটি অংশের মাঝখানটা এতোটাই সেনসিটিভ যে এর মাঝে যদি কিছু লেগে থাকে তাহলে স্পার্ক করে আগুন ধরে যাবে। আর আগুন ধরলে সাথে সাথেই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাবে।
মেট্রোরেলের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি এতোটাই সেনসিটিভ যে তারে কোনো কিছু থাকলে আমরা সাথে সাথে ট্রেনটি বন্ধ করে দেই। আর এটি দেখার জন্য প্রতিদিন আমাদের সুইপিং ট্রেন চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। চালুর ২ দিন পর ৩১ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের ইলেকট্রিক তার এবং রেল লাইনের উপরে ফানুস পড়ার ঘটনা ঘটে। এ কারণে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি মেট্রোরেল চলতে প্রায় ২ ঘণ্টা বিলম্ব হয়। যে কারণে মেট্রোরেল তথা সরকারের আর্থিক লোকসান সাধিত হয়। এ ছাড়াও মেট্রোরেলের বড় ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল।