ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ছিল করিম বেনজেমাহীন রিয়াল। তবে সেসব আক্রমণ গোছালো ছিল না। ছন্দহীন পারফরম্যান্সে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করছিল ভিনিসিয়াসরা। ওসাসুনার ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল উত্তাপহীন। দুই দলের খেলোয়াড়েরা ঝামেলায় জড়িয়ে কেবল কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন। তবে তার ফলে হিসেবে দুজন করে চারজন দেখেছেন হলুদ কার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭ম মিনিটেই রিয়ালকে প্রথম উদযাপনের সুযোগ করে দেন ভিনিসিয়াস৷ পরক্ষণেই সেটি অফসাইডের কাটায় পড়ে বাতিল হয়ে যায়। গোল বাতিলের হতাশাকে কাজে লাগিয়ে মিনিট তিনেক পরেই একক প্রচেষ্টায় আক্রমণ শানান ভিনিসিয়াস। কিন্তু এ সময় ওসাসুনা গোলরক্ষক জর্জিও হেরেরা বাধ সাধেন।
এরপর মিনিট পাঁচেকের মধ্যে দুবার রিয়ালের মনে ভয়ে ধরিয়ে দেয় ওসাসুনা ফরোয়ার্ডরা। ৬২ মিনিটে গোমেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন মিনিট পর জোরালো শট নেন জন মোনকায়োলা। তবে বলটি পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের বাকি সময়টা স্বস্তিতে কাটিয়েছেন অ্যানচেলত্তি। ৭৮তম মিনিটে প্রথম স্কোরশিটে নাম তোলে রিয়াল। ভিনিসিয়াসের বাড়ানো বল আলতো টোকায় ফেদে ভালভার্দে গোলে পরিণত করেন। ৮৮ মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন ভিনিসিয়াস। কিন্তু এবারও ভিএআর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে গোলবঞ্চিত করে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করতে সক্ষম হন অ্যাসেনসিও। শেষ দিকে তিনি দানি সেবায়োসের বদলে নেমেছিলেন।
এই ম্যাচ জয়ে লা লিগায় বার্সেলোনার চেয়ে ৫ পয়েন্টের দূরত্বে অবস্থান করছে অ্যানচেলত্তির দল। শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৫৬, রিয়ালের ৫১। কাতালান ক্লাবটি অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। রোববার রাতে কাদিজের বিপক্ষে খেলবে জাভি হার্নান্দেজের দল।