স্থানীয় রিকশাচালক মাসুম আলীসহ কয়েকজন জানান, দুদিন ভোর থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকছে। এ করণে জরুরি প্রয়োজন আর অফিসগামী লোকজন ছাড়া রাস্তায় কেউ বের হচ্ছেন না। সকাল থেকে যাত্রীর অভাবে বসে থাকতে হচ্ছে। তেমন আয় করতে না পারায় এ কয়েকদিন বেশ ভোগান্তিতে আছেন তারা।
স্থানীয়রা চা-দোকানি গাফফার বলেন, ‘দু-তিন ধরে সকাল থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা থাকায় বেচাবিক্রি কম। ফজরের নামাজের পর অনেক কাস্টমার চা খেতে আসেন, কুয়াশার কারণে তাদের দেখা মিলছে না। তাই আয় কমেছে।’
কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমি যে জমিতে চাষ করেছি, সেখানে ভোর থেকে সার দিতে হতো। কিন্তু কুয়াশার কারণে সকাল ৯টায় বের হচ্ছি। কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও আছে।’
চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ফাল্গুনের শুরুতে কুয়াশা পড়ছে। এতে গম, মসুরিসহ মৌসুমী আবাদের ক্ষতির আশঙ্কা আছে। কারণ, প্রতিবার ফাল্গুনের শেষ দিকে কুয়াশা পড়ে, এবার আগে-ভাগেই কুয়াশা পড়েছে।’
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলী শারমিন বলেন, ‘আমি সকাল ৭টায় অফিসে যাবো। কিন্তু কুয়াশার কারণে পৌছাতে দেরি হয়ে গেছে। কুয়াশায় সময়মতো গাড়ি ছাড়লেও ধীর গতিতে চলেছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, গত দুদিন বেশ কুয়াশা পড়ছে। জেলায় আজ ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আকাশ মেঘলা ছিল বলেই ঘন কুয়াশা পড়ছে। তবে একদিন পরেই কুয়াশা কেটে যেতে পারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিলবে।