বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের ২য় তলায় তৃতীয়দিনের মতো ভিসির কার্যালয় অবস্থান করে ভিসিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রসাশনিক ভবনের সম্মুখে মাইকে উপার্চাযের কন্ঠ সদৃশ নিয়োগ বাণিজ্যে সংক্রান্ত ফাঁসকৃত অডিও চালানো হয়।
অস্থায়ী চাকুরীজীবি পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলনটি চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ তাদেরকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সুপারিশ করলেও তারা তা নাখোচ করে দেয়।
এ বিষয়ে অস্থায়ী চাকুরীজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দার বলেন, আমরা প্রক্টর স্যারের নেতৃত্বে আলোচনায় বসতে চাই। ভিসির দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যে এসেছে এবং তিনি নিজেও বলেছেন অডিও গুলোও তারই। তাই যেকোনো একটা সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, প্রকাশিত অডিও গুলো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মকান্ড চালানোর কোনো অধিকার নেই। আমি পুলিশদের বলেছি তৎক্ষণাৎ মাইকগুলো সরিয়ে ফেলতে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো মিটিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত।
উল্লেখ্য , গত ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি 'ফারাহ জেবিন' ও মিসেস সালাম পৃথক দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে একাধিক অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি 'আল বিদা' নামে ফেসবুক আইডি থেকে ভিসির আরও একটা অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে চাকরির প্রশ্নের বিষয়ে কথোপকথন, চাকরির বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসিকে কথা বলতে শোনা যায়।