পিয়ন যখন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ম্যানেজার!

পিয়ন যখন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ম্যানেজার!
মেট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পাস করা কর্মকর্তাদের দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) শতাধিক শাখা। এর মধ্যে একটি অংশ অবসরে চলে গেছেন, বাকিরা এখনও কর্মরত। এক সময়ের পিয়ন, সশস্ত্র প্রহরী, কেরানি, সার্চক্লার্ক, মুদ্রাক্ষরিক ও শ্রুতিলেখকই এখন শাখার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা (ম্যানেজার)। দেশে লাখ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকার থাকা সত্ত্বেও মাত্র মেট্রিক এবং ইন্টারমিডিয়েট পাস কর্মকর্তা দিয়ে কেন ব্যাংকের শাখা পরিচালিত হচ্ছে এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, মেট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পাস করেই সময়ের ব্যবধানে হয়ে উঠেছেন শাখার ম্যানেজার অথবা সেকেন্ড অফিসার। কিন্তু তার অধিনেই কাজ করছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবীরা। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, শাখা ব্যবস্থাপকের নামে খোলা ই-মেইল আইডিতে লগ ইন ও আউট কোনোটাই করতে পারেন না তাদের অনেকে। করতে পারেন না জরুরি তথ্যের আদান প্রদান।

এসব বিষয়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান রইসুল আলম মন্ডল বলেন, ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে আমি (চেয়ারম্যান) কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে ব্যাংকের প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কেনো জৈষ্ঠতা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না সে বিষয়টা অবশ্যই আমি খতিয়ে দেখব। এছাড়াও যেসব বিষয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি। করোনা ও বন্যার প্রভাব কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নতুন ধারায় ফিরবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম সাজেদুর রহমান খান বলেন, আমাদের ব্যাংকের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। একটা সময় অল্প শিক্ষিত লোক ছাড়া ব্যাংক পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল ছিল না। তবে খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা ব্যাংকটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। যেসব উচ্চশিক্ষিত কর্মকর্তা নতুন করে ব্যাংকে জয়েন করছেন দুই-এক বছর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দায়েত্ব দিচ্ছি। এখন অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্বল্প শিক্ষিত লোকদের জায়গা পরিবর্তন করে নতুনভাবে চিন্তা করা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠতা তালিকা ও পদোন্নতিতে অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে কোন অনিয়ম করা হবে না। পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের একটি নির্দিষ্ট টার্গেট দিয়ে দেওয়া হয়। স্বল্প সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দক্ষতার মাধ্যমে যেসব কর্মকর্তা কাজ করেন তাদেরকে পদন্নতির জন্য নির্বাচিত করা হবে। জ্যেষ্ঠতা তালিকা পদোন্নতি পাওয়ার জন্য একটি উপাদান মাত্র।

ব্যাংকের কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পাসের সনদ নিয়ে ক্যাশ সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে এখন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের উচ্চপদে কাজ করছেন নওগাঁ জেলার আব্দুর রহমান (শাখা ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজার, ফতেহপুর), বগুড়া জেলার বিজরুল শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) সহিদুল আলম এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা একরামুল হক মন্ডল। সব মিলিয়ে ক্যাশ সহকারী থেকেই শাখা ম্যানেজার এবং সেকেন্ড অফিসার হয়েছেন ৩৪ জন।

মেট্রিক (মাধ্যমিক) পাস সশস্ত্র প্রহরী হাবিবুর রহমান কুড়িগ্রামের রাজীবপুর শাখা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে কর্মজীবন শেষ করেন ২০১৬ সালে। এই তালিকায় আরও রয়েছেন বগুড়া উত্তর জোনের বগুড়া শাখার মুখ্য কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি শাখার মুখ্য কর্মকর্তা সাকাওয়াৎ হোসেন। শ্রুতিলেখক (স্টেনোটাইপিস্ট) হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করে সর্বশেষ নাটোরের হালসা শাখার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন ইন্টারমিডিয়েট পাস নুরুল ইসলাম। একই অবস্থা শ্রুতিলেখক আব্দুল আজিজেরও। সর্বশেষ রাজশাহী প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) দফতরের স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করেন তিনি।

শ্রুতিলেখক (স্টেনোগ্রাফার) হিসেবে যোগদান করে রাকাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে বহুদিন কাজ করেছেন সায়েদুজ্জামান এবং নজরুল ইসলাম। সর্বশেষ রাজশাহী জেলার প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর শাখা ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তারা। অন্যদিকে নিম্নমান সহকারী হিসেবে ব্যাংকটিতে যোগদান করে এখন নওগাঁর রাঙ্গামাটি হাট শাখা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হৃদয় কুমার রায়। এছাড়াও নিম্নমান সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে এখনও শাখা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন নওগাঁ জেলার উত্তরগ্রাম শাখার আব্দুর রহমান এবং কৃষ্ণপুর শাখার মেজবাউল হক। এই তালিকায় রয়েছেন আরও তিনজন।

পিয়ন হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে শাখা ম্যানেজার হয়ে কর্মজীবন শেষ করেছেন ১১ জন। এদের মধ্যে দিনাজপুরের হাকিমপুর শাখার মুখ্য কর্মকর্তা আবুল হাসনাত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোনাল কার্যালয়ের মুখ্য কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ রায় মেট্রিক (মাধ্যমিক) পাস এবং দিনাজপুর দক্ষিণের জোনাল কার্যালয়ের মুখ্য কর্মকর্তা ওমর আলী মন্ডল ছিলেন অন্যতম।

শুধু পিয়ন-ই নয় কেরানি (সার্চ ক্লার্ক) হিসেবে যোগদান করেও শাখা পরিচালনা করেছেন ১৬ জন। তবে তাদের সকলেই এখন অবসরে। তারা হলেন দিনাজপুরের বুলিয়াবাজার শাখার ম্যানেজার আজিজুর রহমান, বগুড়া উত্তরের ভেলাবাড়ী জোড়াগাছা শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান এবং কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী শাখার ম্যানেজার সুবল চন্দ্র সাহাসহ আরও ১৩ জন।

কেরানি (মুদ্রাক্ষরিক) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন মোট ২৮ জন। তাদের অধিকাংশই ছিলেন শাখা ম্যানেজার। এদের মধ্যে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শাখার ম্যানেজার মমিনুল হক, দিনাজপুর দক্ষিণের হাকিমপুর শাখার ম্যানেজার জীতেন্দ্র নাথ রায় এবং রাজশাহী প্রধান কার্যালয়ের আইসিসি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার সাহা ছিলেন অন্যতম।

শুধু তাই নয়, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন দুর্নীতির মধ্যে জ্যেষ্ঠতা ক্রম লঙ্ঘন করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, জ্যেষ্ঠতা তালিকার প্রকাশ না করা, নীতি বহির্ভূতভাবে ব্যাংকের একই শাখায় ৩ বছরের অধিক অবস্থান, গ্রামের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করে রাজধানীতে সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) হিসেবে পদোন্নতি অন্যতম। এসব অনিয়মে কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাকাবের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, গুটিকয়েক সদস্যের একটি চক্রের মাধ্যমে এসব দুর্নীতি সম্পন্ন হয়ে আসছে বহুদিন থেকে। দিনের পর দিন এধরণের অনিয়ম দুর্নীতি আরও বাড়ছে।

কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে জ্যেষ্ঠতা তালিকার সামনের দিকে থাকা কর্মকর্তাদের বাদ রেখেই ২৪৫ নম্বর সিরিয়াল থেকে শুরু হয় পদোন্নতি। বঞ্চিত করা হয় মেধাতলিকায় উপরে থাকা অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ ব্যাংকারদের। এসব দুর্নীতির ঢাকতে গত ছয় বছর ধরে কোনো জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রকাশ করেনি রাকাব। সর্বশেষ এই তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নতুনভাবে এই তালিকা প্রকাশ না করেই অভ্যন্তরীণ পদোন্নতি দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি। যদিও অর্থমন্ত্রণালয় প্রণীত রাকাবের ২০১৫ সালের পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য সময়ে সময়ে জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।

এছাড়াও, রাকাবের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শাখাতে নীতি বহির্ভূতভাবে অনেক কর্মকর্তা তিন বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এসপিও) কামরুল হাসান, রেজা তৌফিক, রাকাব চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি মুকুল বর্ধন, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর মধ্যপাড়া শাখার আজমীর হোসেন, পাবনা জেলার চাটমোহর শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা গোলাম আযম, ঠাকুরগাঁও জেলার চরখোচাবাডিহাট শাখার ফজলে রাব্বী, গোগর হাট শাখার মিজানুর রহমান ও ঢাকা কর্পোরেট শাখার শফিকুল ইসলাম অন্যতম। শুধু তাই নয় আইটি ও আইনসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল বিভাগগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন অনেক কর্মকর্তা।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিতেও চলছে নানা অনিয়ম। ২০১০ সালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে একসঙ্গে ৫৪ জন ব্যাংকার যোগদান করলেও এবছর চারজনের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে অন্য ৫০ জনের চেয়ে বেশি। নতুন করে এই চারজনের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৬০০ টাকা। যা অন্য ৫০ জন সহকর্মীর তুলনায় ২২৭০ টাকা বেশি। এই চারজন কর্মকর্তা হলেন- রংপুর জেলার মিঠাপুকুর শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ মন্ডল, রাজশাহী জেলার প্রধান কার্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, রংপুর পরশুরাম শাখার ব্যবস্থাপক অম্বরীষ মহন্ত এবং রাজশাহীর অডিট অফিসার মো. ফরিদ আহমেদ।

অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রুহুল আজাদ জানান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পদোন্নতিতে অনিয়মের বিষয়টি আমাদের অজানা। কারণ এখন পর্যন্ত ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেননি। এছাড়া আমরা যদি কোনো অনিয়ম খুঁজে পায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতা তালিকাকেই বিবেচনা করা হয় না। একজন ব্যাংকারের কর্মদক্ষতা, ব্যাংকে সেবাদানসহ সার্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পদোন্নতির জন্য নির্বাচিত করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অপর অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জাকিয়া সুলতানা বলেন, একটি নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। তবে সেখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলেও আমরা অবগত নই। ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তার ভিত্তিতে আমরা সামনে আগাবো বলে জানান তিনি।

চলতি বছরের জুন ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৮৩ টি শাখার মধ্যে ১৯৫ শাখা-ই লোকসান রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের (২০১৯-২০) রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালন লোকসানের পরিমাণ ৬০২ কোটি টাকা। এসময়ে মোট ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৩১ শতাংশই খেলাপি। অংকে যার পরিমাণ ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা