আজ রবিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিআইজিডির মেহনাজ রব্বানি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু করে পরবর্তীতে মে ও জুন মাসেও এই গবেষণা পরিচালিত হয়। তাতে দেখা যায়, প্রথমবার গবেষণা পরিচালিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে ১২১ জন নারী ইতিমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আগামী সাত মাসের মধ্যে এ অবস্থার উন্নতি না হলে কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন আরো ৫৫০ জন। এদিকে করোনার মধ্যেও নিজেদের ব্যবসা নিয়ে আশার আলো দেখা নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়েছে।
এপ্রিল মাসে এই সংখ্যা ১৫ শতাংশ থাকলেও জুনে এসে তা বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে। এপ্রিল মাসের চেয়ে জুন মাসে পণ্যের অর্ডার ক্যানসেলের সংখ্যা কমে যাওয়ায় গ্রাহক টানতে ছাড় দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে। এপ্রিল মাসে এই সংখ্যা ১৩ শতাংশ থাকলও জুনে তা বেড়ে ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে। চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ঘটনা এপ্রিল মাসের থেকে চার শতাংশ কমলেও জুনেও সে সংখ্যা ১৪ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি নিবন্ধন না থাকায় ৬৫ শতাংশ উদ্যোক্তা সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা গ্রহণ করতে পারেননি। এর ফলে ওই উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী তাঁদের সঞ্চয় এবং ২০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাঁদের পরিবার ও বন্ধুদের মধ্য থেকে ঋণ সহায়তা নিয়েছেন।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, কিভাবে সরকারি সহায়তা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে ধারণা নেই ৬৩ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার। আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা নিয়ে উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশ মানসিকভাবে চাপে ছিলেন।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডাব্লিউসিসিআই) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, ‘নারী উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ‘নারী উদ্যোক্তা’র বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’
বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।