পরে এদিন বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ফুলপরিকে হলে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপরীর বাবা, বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো: রাশেদুজ্জামান।
এ বিষয়ে ফুলপরী খাতুন বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদে দেশবাসী আমার পাশে দাড়িয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে ভালো অনুভব করছি। আমি পড়াশুনা করে, দেশের উন্নয়ন করবো। আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে তা যেন আর কারও সাথে না ঘটে এ বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমি প্রতিবাদ করেছি, আমি চাই সকলে যেন আগামীতে আমার মতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে। আর যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তারা আমার পাশে ছিলেন বলে আমি এগিয়ে গেছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দোয়া রইল।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অধ্যাপক ড. মিয়া মো: রাশেদুজ্জামান, ফুলপরী যেহেতু আমাদের এই হল পছন্দ করেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তাকে তার পছন্দসই রুমে আবাসিকতা প্রদান করবো।
অপরদিকে ফুলপরীর বাবা বলেন, এমন একটা অন্যায় করেছিলো যার প্রতিবাদ করতে হয়েছে। এমন নির্যাতন আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কোন প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের উপর না হয়। মামলা করবো এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা প্রমাণিত হলে নির্যাতনের শিকার ফুলপরী যেকোনো ছাত্রী হলের পছন্দমত সিট নির্ধারণ করতে পারবে বলে জানায় হাইকোর্ট।
অর্থসংবাদ/সাকিব আসলাম/এসএম