প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই পরীক্ষা না নেয়ার জন্য কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ আকারে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তারও আগে ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলা হয়।
আজ সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এবার স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, স্কুল খোলা সম্ভব হলে নিজ নিজ স্কুল ও মাদ্রাসা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান করবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে হবে।
এদিকে এইচএসসি, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা এবং স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে, যা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে এ বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলো হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়।