আজ বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী জানান, গার্মেন্টস মালিদের চিঠি তিনি পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রণোদনা দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। আগেরবার দাবি করার আগেই প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। এটারও সম্পূর্ণ এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি নির্দেশনা দিলে আমরা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবো।
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ রফতানি খাতে শিল্প কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বিশেষ ঋণ সুবিধার মাধ্যমে পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা দিয়ে এপ্রিল-মে-জুন মাসের বেতন দিতে অতিরিক্ত আরো আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হয় পোশাক খাতের। সরকার ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে সেই প্রয়োজন মেটানো হয়। শ্রমিকদের জুলাই মাসের মজুরি পরিশোধে আরো তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায় পোশাক খাত। সে হিসাবে তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে অতিরিক্ত আড়াই হাজারসহ মোট সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পেয়েছিলেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
এরপর জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধে আবারো সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা পেতে চাইছিলেন তারা। কিন্তু শুধু জুলাই মাসের জন্য এবং শেষবারের মতো তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পায় রফতানিমুখী শিল্প।
সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট ফের শ্রমিকদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ সুবিধা চেয়েছেন পোশাকখাতের উদ্যোক্তারা।