ইউক্রেনে আইএমএফ মিশনের প্রধান গ্যাভিন গ্রে বলেন, এই ঋণ প্যাকেজের লক্ষ্য হলো কিয়েভকে পুনরুদ্ধার করা। কারণ রুশ হামলায় দেশটি অধিকাংশ এলাকা বিধ্বস্ত। তাছাড়া চলমান যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
গ্রে বলেন, চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই আর্থিক স্থিতিশীলতা, ঋণ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউরোপে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইউক্রেন ও আইএমএফের মধ্যে চার বছর মেয়াদি এই চুক্তি হয়েছে।
এদিকে চীনের শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার ভিত্তি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন এটাও বলেন, ‘যখন পশ্চিম ও কিয়েভ প্রস্তুত থাকবে, তখনই এটি সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব গুরুত্ব পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় মস্কোতে বৈঠক করেন দুই শীর্ষ নেতা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং দেশ দুটির সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয় এতে।
গত মাসে প্রকাশ্যে আসা চীনের ওই শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে রাশিয়াকে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়নি। ১২-দফার এই শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবে শান্তি আলোচনা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার আহ্বান জানানো হয়।