আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী, ভিক্ষা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তাকে তিন মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় দেড় লাখ টাকার সমান।
আমিরাতের পাবলিক প্রসিকিউশন জোর দিয়ে বলেছে, যে কোনোভাবে ভিক্ষা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর যাদের ভিক্ষা করার অপরাধে ধরা হবে তাদের নিশ্চিত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
করুণা
পাবলিক প্রসিকিউশন আরও সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি স্বাস্থ্যবান কেউ ভিক্ষা করেন, জীবন চালানোর উপায় থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করেন, আহত বা প্রতিবন্ধী সেজে করুণা পাওয়ার চেষ্টা করেন অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষকে সহায়তা করার নাম করে সাহায্য তোলার সময় ধরা পড়েন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটি সত্যিকারের ভিক্ষুকদের যে শাস্তি দেওয়া হয় তার চেয়েও কঠিন হবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে নিজেদের বার্ষিক ক্যাম্পেইন শুরু করে দুবাই পুলিশ। মূলত রমজান মাস আসলেই ভিক্ষাবৃত্তি বেড়ে যাওয়ায় এই সময়টায় এর বিরুদ্ধে বেশি তৎপর হয় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে দুবাই পুলিশ জানায়, গত রমজানে ৬০৪ জনকে আটক করেছিলেন তারা। এরমধ্যে ৩৮২ জন ছিলেন ভিক্ষুক। ২২২ জন ছিলেন অবৈধ ব্যবসায়ী, যারা অনুমতি ছাড়া ফুটপাত বা রাস্তায় রমজান উপলক্ষ্যে ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম