রোববার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় মানুষের আতিথেয়তা একটি দেশের বিভিন্ন দিকগুলোর মধ্যে একটি। যা আমি ও আমার সহকর্মীরা প্রতিদিন অনুভব করেছি।
গুয়েন লুইস বলেন, দেশটির অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মঞ্চে নেতৃত্ব এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে; যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়া, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পরিকল্পিত অর্জন।
জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং আমাদের (জাতিসংঘ) অভিন্ন মূল্যবোধের প্রশংসা করে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস বলেছে, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার আগেই গৃহীত দেশের সংবিধান মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। বাক স্বাধীনতা, ধর্ম, আন্দোলন ও সমাবেশের অধিকার, নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্যান্য অধিকার।
অর্থসংবাদ/এসএম