দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম গত ১৩ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। সালমা ইসলাম ইতোপূর্বে যমুনা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদের একজন সংসদ সদস্য ও ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার প্রকাশক।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, মানবাধিকার এবং শিশু ও নারী অধিকার সংরক্ষণের নানা বৃহৎ উদ্যোগে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছেন বহু আগেই। দেশের উৎপাদন খাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তার ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০১ সালে সিআইপির মর্যাদা দেন।
তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ঢাকা জেলা জজকোর্ট, ঢাকা সিএমএম কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায়ও জড়িত।
যমুনা শিল্প পরিবার দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিল্প, উৎপাদন ও সেবা খাতে বিশেষ করে বস্ত্র খাতের টেক্সটাইলের স্পিনিং, নিটিং, ডায়িং, হাইটেক ফ্যাব্রিক্স, গার্মেন্টস, টয়লেট্রিজ, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, বেভারেজ, যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমল, ফাইভস্টার হোটেল (জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেল), বিনোদন পার্ক, অটোমোবাইলস, কেমিক্যাল, লেদার, রিয়েল এস্টেট সেক্টর, হাউজিং, টায়ার অ্যান্ড রাবার, প্রিন্টিং ও পাবলিশিং (দৈনিক যুগান্তর), ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া (যমুনা টিভি) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশের আর্থ-সামাজিক ও শিল্প খাতে বিশাল অবদান রেখে এসেছে।
বর্তমানে যমুনা গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির নতুন নেতৃত্বে যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের অসমাপ্ত স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে যমুনা গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদ মনে করে।