বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দায়ের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনগুলোর হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানির আদেশও বহাল রেখেছেন আদালত।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপ করা হয়। যা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা। তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের পাল্টা আপিল করে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বিধায় এর আগে ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তা বন্ধ করা হয়।
২০০৭ সালের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করার কথা জানানো হয়। তবে, ‘মেডিকেল, ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্য শিক্ষাদানে নিয়োজিত প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আয় করমুক্ত হইবে। কিন্তু ওই সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিবছর যথারীতি নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ আয়কর বিবরণী দাখিল করতে হবে। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে’, বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং কেবলমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
এই প্রজ্ঞাপন দুটি চ্যালেঞ্জ করে ৪৬টি রিট আবেদন করা হয়। এসব রিট আবেদনে প্রথমে রুল জারি করা হয়। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আয়কর আদায় অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।