ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি কোটা পূরণ হয়েছে। কিন্তু সরকারিতে আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটা বাকি রয়েছে। সেজন্য আগামী রোববার পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি কোটায় এবার বেসরকারি এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন করতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়েছে। রোববারের পর নিবন্ধনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
হজ নিবন্ধন পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, বেসরকারিতে প্রাপ্ত কোটার সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮। এর মধ্যে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১৮২জন। বাকি ৩ হাজার ২৩৭ জনের মধ্যে ৭০০ মোনাজ্জেম ও ২ হাজার ৫৩৭জন গাইড হজযাত্রীর সঙ্গে যাবেন। সব মিলিয়ে বেসরকারিতে কোটা পূরণ হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারিতে এবার কোটাপ্রাপ্ত ১৫ হাজার। এরমধ্যে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩৯জন। এর মধ্যে গাইড ২৫০, রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাবেন ২০০ এবং সংরক্ষিত ১০০জন। সব মিলিয়ে মোট ১০ হাজার ৪৮৯জন। সে হিসেবে সরকারিতে এখনো ফাঁকা রয়েছে ৪ হাজার ৫১১ জন।
এর আগে দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারিতে যা ফাঁকা রয়েছে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারিতে ফাঁকা আসন বেসরকারি এজেন্সিগুলো দিয়ে দেওয়ার আলোচনা ছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেসরকারি এজেন্সিগুলো নেবে না। কারণ তাদের কাছে আর কোন হজযাত্রী নেই বলে আমাদের জানিয়েছেন।
তিন ঘণ্টার ব্যবধানের সরকারি কোটা বেসরকারি এজেন্সির হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রণালয়।