সূত্র মতে, গতকাল (বুধবার) অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজ পরিদর্শনে যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্ত দল। এসময় গত ৩ এপ্রিলের গ্রাহক হিসাবের তহবিলে ১ কোটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৮ টাকার ঘাটতি খুঁজে পায়। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ডিএসই থেকে অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গ্রাহক হিসাবে গরমিল পেয়ে অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজের মালিকানাধীন শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ প্রদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
ডিএসইর মার্কেট মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের ইনচার্জ মো. বজলুর রহমানের সই করা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজের ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ (ডিপি) নবায়ন স্থগিত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধাও স্থগিত থাকবে। এছাড়াও নতুন ডিজিটাল বুথ ও শাখাও খুলতে পারবে না অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিনিয়োগকৃত অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয়ের পর অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজে ন্যূনতম এক বছর বিশেষ তদারকি করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাব মাসে অন্তত দুইবার পরীক্ষা করবে ডিএসই।
এ বিষয়ে অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাইফুল ইসলাম ওয়াদুদ অর্থসংবাদকে বলেন, যে টাকার গরমিল ডিএসই পেয়েছে সেটি আমাদের অন্য একটি অ্যাকাউন্টে জমা ছিল। গ্রাহকদের ডিপি একাউন্টের মুনাফার টাকা ছিল, এ অর্থ বিতরণের সফটওয়্যার আমাদের নেই। আমাদের কারেন্ট একাউন্ট না থাকায় অন্য একাউন্টে রাখা হয়েছে। আগামী রোববার এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আমরা জমা দিয়ে দেব।