রবিবার রাতে উপজেলার ঝিম্বংখালী ও সাবরাং মহেশখালী গোদা সংলগ্ন নাফনদীর তীর থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ঝিমংখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ইসহাকের ঘের এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকার জঙ্গলের ভেতরে কৌশলে অবস্থান নেয় বিজিবির সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর তিন ব্যক্তিকে দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে মিয়ানমার থেকে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাঞ্জরখালের দিকে আসতে দেখেন তারা। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করেন।
তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, একইদিন রাতে মহেশখালীয়া গোদা এলাকায় সাবরাং বিওপির একটি টহলদল অভিযান চালায়। এ সময় লবণ মাঠ এলাকা দিয়ে সীমান্ত শূন্যরেখা অতিক্রম করে দুইজন ব্যক্তিকে আসতে দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে টহলদল চ্যালেঞ্জ করলে একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী এগুলোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।