রিয়াল লা লিগায় তিনে নেমে যাওয়ার ধাক্কা ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছে। শনিবার ওসাসুনাকে হারিয়ে কোপা ডেল রে শিরোপা জিতে নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল। অন্যদিকে, লিডস ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সিটিও দারুণ ফর্ম নিয়ে কাল মাঠে নামছে।
আবুধাবি গ্রুপের মালিকানাধীন ম্যানসিটি এক দশক ধরে ইংলিশ ফুটবলের একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হলেও এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে পারেনি। এবার তাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে বলে মনে করেন ফুটবল বোদ্ধারা। রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে তাদের জন্য এসি মিলান কিংবা ইন্টার মিলানকে হারানো কঠিন হবে না বলে মনে করেন তারা।
ইংলিশ গ্রেট ওয়েন রুনি তো বলেই দিলেন, রিয়ালকে শুধু হারাবেই না, রীতিমতো ধ্বংস করবে ম্যানসিটি। দ্য টাইমস-এ লেখা কলামে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে শুধু হারাবেই না, বরং তাদের ধ্বংস করতে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি।’
রিয়ালের রেকর্ডের কথা স্বীকার করলেও সিটিকেই ফাইনালে দেখছেন এভারটন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গ্রেট। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু সিটি এখন অন্য পর্যায়ে রয়েছে। রিয়ালের মতো দলের অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস আপনি বাতিল করে দিতে পারেন না, কিন্তু আমি তাদের পক্ষে বাজি ধরব না। আমি মনে করি, এটি সিটির বছর।’
রুনির মতে, গত বছর যে সিটিকে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, সেই দলের চেয়ে এবারের সিটি অনেক ভিন্ন। বিশেষ করে, নরওয়েজিয়ান ফরওয়ার্ড আর্লিং হালান্ডের কারণেই বাজি ধরতে চান রুনি। তার কথায়, ‘সিটি এখন রক্ষণের দিক থেকে ভালো, আগের চেয়ে ধৈর্যশীলও। তবে তাদের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বোধ হয় আর্লিং হালান্ড। গত মৌসুমে বার্নাব্যুতে পাঁচটি পাগলাটে মিনিটে হেরে যায় সিটি। হালান্ড থাকলে নিশ্চিতভাবেই এমন ঘটতো না।’
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এডার মিলিতাওকে পাবে না রিয়াল। তিনি রয়েছেন নিষেধাজ্ঞায়। ফারল্যান্ড মেন্দিও বাইরে থাকবেন। তবে চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরতে পারেন লুকা মডরিচ। এদিকে, সিটির একাদশে কাইল ওয়াকারকে ফেরাতে পারেন পেপ গার্দিওলা। নাথান আকে লিডস ম্যাচে চোটে পড়েছেন। এছাড়া সিটির স্কোয়াডে বড় কোনো সমস্যা নেই।
গতবার ইতিহাদে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সিটি ৪-২ গোলের জয় তুলে নেয়। বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলের লিড ধরে রেখে ফাইনালের পথেই ছিল ম্যানসিটি। যদিও ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রদ্রিগো দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে সব হিসাব পাল্টে দেন। ৯৫ মিনিটে করিম বেনজেমা পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন।
সিটি-রিয়াল দ্বৈরথের সূচনা ২০১২/১৩ মৌসুম থেকে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত লড়াই সমানে সমান। সিটি ও রিয়াল সমান তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে, ড্র হয়েছে দুটি। রিয়াল গোল করেছে ১২টি, সিটি করেছে ১৩টি।