ফুড সিকিউরিটি আপডেট নামে প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, খাদ্যে কমপক্ষে ৫ শতাংশ বা তার বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৪ দশমিক ৭০ শতাংশ নিম্ন আয়ের দেশে। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে এ হার ৮৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া উচ্চমধ্যম আয়ের ৮৯ শতাংশ দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। উচ্চ আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশ দেশেও উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা যাচ্ছে। এ সমস্যায় ভোগা দেশগুলোর বেশিরভাগ আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায়। গত বছর ৫৮ দেশের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ খাদ্য সংকট বা তীব্র খাদ্য সংকটে ছিল।
খাদ্যনিরাপত্তার সংকট মোকাবিলায় নতুন ১২ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ছাড়াও গত এপ্রিলে ৩০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন সহায়তা ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংক। স্বল্প ও দীর্ঘ উভয় প্রকারের ঋণ সহায়তার মাধ্যমে সংকটে পড়া দেশগুলোকে খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা বাড়াতে সহায়তা করবে। প্রতিবেদনে অবশ্য উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি খাদ্য ও শস্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমেছে। আগামীতে আরও কমতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম