বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য হতে চলেছে মন্টানা। বুধবার সেখানকার গভর্নর এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করেছেন এবং এটি আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ হওয়ায় চীন সরকারের কাছে এর ডেটা পাঠানো হতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে বহু দেশে তদন্তের আওতায় এসেছে টিকটক। তবে ভিডিও-শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্মটি বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘মন্টানার জনগণের প্রথম সংশোধনীর অধিকার লঙ্ঘন করবে’।
মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট একজন রিপাবলিকান এবং আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি থেকে মন্টানার জনগণকে রক্ষা করার জন্য বিস্তৃত পরিসরের আরও নিষেধাজ্ঞা তার অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা মাত্র ১০ লাখের কিছু বেশি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রিপাবলিকান পরিচালিত এই অঙ্গরাজ্যটি সরকারি ডিভাইসে চীনের জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছিল।
তবে এবার ব্যক্তিগত ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এই আইনকে চীনা মালিকানাধীন এই অ্যাপাটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যদিও প্ল্যাটফর্মটি প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রসারিত হয়েছে, এরপরও এটি এখনও কিশোর-কিশোরী এবং ২০-৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
যাইহোক, মার্কিন রাজনৈতিক স্পেকট্রামজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে যে চীনের অ্যাপ টিকটক হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী চীনা এই অ্যাপটি ৩৫০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে।
কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম