সোমবার (২২ মে) ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নামজারী আমরা ১৪ দিনের আগেই করছি। এ বিষয়ে ফাকি দেওয়ার কোন উপায় নাই। অনলাইনে আবেদন করলে ঝুলিয়ে রাখার কোন উপায় নেই। আবেদন গ্রহণ করবে নয়তো খারিজ করে দিবে কিন্তু ঝুলিয়ে রাখার উপায় নেই।
তিনি আরোও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় জায়গার নথি হারিয়ে যায় বা পুড়ে যায়। অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করে থাকে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সকল জমির ছায়া নথি তৈরি করার। এটা হয়ে গেলে নথি হারিয়ে গেলেও যাতে এগুলো পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রনালয় ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত আইন কানুনের যুগোপযোগিকরণের মাধ্যমে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার প্লাটফরম গড়ে তোলে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থপনার সুফল হিসাবে ই-নামজারী, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ, অনলাইন সায়রাত মহাল, জলমহাল, ব্যবস্থপনা, ই-পর্চা, ই-নকশা গ্রহণসহ নানাবিধ ভূমি সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করা যায়।তাছাড়া ডাকসেবার মাধ্যমেও ভূমি সেবা দেয়া হয়।
ঢাকার সকল ভূমি অফিস ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়রানি মুক্ত ভূমি সেবা গ্রহণে অনলাইনে শুনানী গ্রহণসহ অফিসের বাহিরে গণশুনানী করে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, লিজ নবায়নের আধুনিকায়ণে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যকর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ঢাকা জেলার প্রশাসন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ যাবত .একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে এবং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়াও যাছাই-বাছাইকরণের মাধ্যমে ঢাকা জেলার অসহায়, দরিদ্র, গৃহহীন, দুস্থদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।