বুধবার(২৪ মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্ত্বরে শিক্ষকবৃন্দ এ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচিটি সম্পন্ন করেন।
এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের সঞ্চালনায় এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রাশিদ আসকারী, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকুট, সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আতিয়ার প্রতিবাদমুখর বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকনেতা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের এই ক্ষমতায় থাকাকে মেনে নিতে না পারে অপশক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে শেখ হাসিনাকে এরকম হুমকি এটা কিন্তু মোটেও সহজ বিষয় নয়। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব চাঁদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে।
শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ঘুপটিমেরে রাতের আধারে যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সেই অপচেষ্টা আমরা সফল হতে দিবোনা। শুধু চাঁদ নয় চাঁদের পিছনে যারা আছে সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর-রাশিদ আসকারী বলেন, একজন কুলাঙ্গার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো জননেত্রীকে কবরে পাঠানোর হুঙ্কার দিয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি। পঁচাত্তরের আগে তাকে হত্যার পরিকল্পনার অনেক আলামত আমাদের কাছে ছিলো। কিন্তু গণবিস্ফোরণ করতে পারিনি এটি আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু পঁচাত্তরের মতো পরিবেশ এখন বাংলাদেশে নাই।
মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ভাবতে কষ্ট হয় যে তার রক্ত যারা জীবিত আছেন তাদেরকে আবারো ঐ অপশক্তি, মৌলবাদী শক্তি, বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি কবরস্থানে পাঠাতে চাই। ঐ একি পথের পথিক বানাতে চাই। বাংলাদেশ যখন উজ্জ্বলভাবে বিরাজমান, সারা বিশ্বে যখন মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে তখন তারা কবরস্থান বানানোর মতলবে বিভোর। এই শক্তি একজন চাঁদের না এই উক্তি একজন চাঁদের না এই উক্তি হচ্ছে একটি চক্রান্তের। এই চক্রান্তকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। সামনে আগস্ট মাস এখন থেকেই তারা চক্রান্ত চালিয়ে যাবে। কারণ আগস্ট মাস তাদের প্রিয়। এই আগস্ট মাসেই পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, যখন আমেরিকা, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করছে তখনই এই অন্ধ, উপমন্দ, অপশক্তি বাংলাদেশের ঔজ্জ্বল্যতাকে দেখতে চাইছেনা। এই শক্তিকে মাটি থেকে উৎঘাট করতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিবাদ হিসেবে এই প্রতিবাদকে জোরালো ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।