সে সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে রপ্তনি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছিল। এবার দেশে চালের উৎপাদন ভালো হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি চালুর বিষয়ে সুপারিশ করায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, 'বন্ধের আগে যাদের রপ্তানির অনুমতি নেয়া ছিল তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে সময় বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় ৪১টি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির অনুমতি নেয়া ছিল। যে পরিমাণ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়, তার বেশিরভাগই রপ্তানি করতে পারেনি। এখন তারা নতুন আবেদন করলে তাদেরকে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে।
জানা যায়, রপ্তানি বন্ধের আগে প্রতি বছর ৯,৫০০ থেকে ১০,৫০০ মেট্রিক টন সুগন্ধি চাল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইউরোপ, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৩৬টি দেশে রপ্তানি হতো।
বড় রপ্তানিকারকদের একটি হলো স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানি বন্ধের আগে এটির তিন হাজার মেট্রিক টনের অনুমতি নেয়া ছিল, কিন্তু তারা তা রপ্তানি করতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অপারেশস অফিসার বলেন, 'সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমরা যে রপ্তানি বাজার হারাতে বসেছিলাম সেটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করব এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারব।'
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন মঙ্গলবার (২৩ মে) খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও রপ্তানিকারকদের নিয়ে একটি সভা করে।
ওই সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান জানান, দেশে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় খাদ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করে। দেশে এ বছর চাহিদা অনুযায়ী চাল উৎপাদন হওয়ায় সরকার কেস টু কেস ভিত্তিতে রপ্তানির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তানিয়া ইসলাম বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আপত্তি না থাকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানির বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবে।
এ প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেস টু কেস ভিত্তিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি প্রদানের বিষয় বিবেচনা করবে এবং পরবর্তীসময়ে রপ্তানি নীতিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিশ্লেষণাত্নক প্রতিবেদন প্রদান করবে।
এ সময় রপ্তানিকারকেরা জানান, দেশে সুগন্ধি চালের উৎপাদন ১৮.৩৫ লাখ মেট্রিক টন। এর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি করা হয়।