বৃহস্পতিবার (৮ জুন) টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত পাঁচ দশকের অধিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।
দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ সময় স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস কোনোভাবেই বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরও তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। একই সঙ্গে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম তুলে ধরতে হবে।
দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সঙ্গে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে, সেজন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকো সহ-সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এসময় অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম