ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের দিন আইএমডি জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে এবং আরব উপদ্বীপের কোনো দেশে এই ঝড়টির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারের টুইটবার্তায়ও ‘বিপর্যয়’র উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যাওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু দুদিন পর ঝড়টি ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
আরব সাগরের তীরবর্তী অপর দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর পাকিস্তান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (পিএমডি) পৃথক এক টুইটবার্তা, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র প্রভাবে আরব সাগরের তীরবর্তী ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি থেকে ভারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হবে।
আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়া’র উপকূল থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং মুম্বাই থেকে ৮৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ‘বিপর্যয়’।
ভারত কিংবা পাকিস্তানের কোনো উপকূলে বিপর্যয়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখনো নেই। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ভারতের গোয়া, গুজরাট ও মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকা এবং পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের রাজধানী করাচি ও বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় আগামী ১০, ১১ ও ১২ জুন ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি ও পিএমডি।
বর্তমানে সাগরের যে অঞ্চলে বিপর্যয় অবস্থান করছে, ইতোমধ্যে সেখানকার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বাতাসের গতিবেগ পৌঁছেছে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটারে। পিএমডির সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে এবং যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে, তার আশপাশের সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি ও পিএমডি।