আদানি প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ সত্ত্বেও দেশের বিদ্যুৎ সংকট প্রায় অপরিবর্তিত

আদানি প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ সত্ত্বেও দেশের বিদ্যুৎ সংকট প্রায় অপরিবর্তিত
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পর কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা; কিন্তু তারপরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে অনেক এলাকাতেই। কারণ চাহিদা কমলেও, খুব একটা বাড়েনি বিদ্যুতের উৎপাদন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আদানির পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও একই দিনে কয়লা সংকটের কারণে এস আলম গ্রুপের প্ল্যান্টটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে একই কারণে গত ৫ জুন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতীয় আদানি গ্রুপের গোড্ডা ১৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ এরমধ্যেই ১,০০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে। প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক সঞ্চালন শুরু করার ফলে সম্ভব হয়েছে এটি।

বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১,০৮৩ মেগাওয়াট এবং গতকাল সকাল ১০টায় সরবরাহ ছিল ১,০৬৯ মেগাওয়াট।

আদানির গোড্ডা থার্মাল প্ল্যান্টকে তাদের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য বরাবরই জোর দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করার সময়সীমা পার করে ফেলেছে আদানির থার্মাল প্ল্যান্ট।

বিপিডিবি'র উদ্যোগের ফলে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট এই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের প্রি-কমিশনিং পরীক্ষা শুরু করেছে।

১-২ জুন এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১,০৭০ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার এর অপারেশন পুনরায় শুরু করার আগে কয়েক দিনের জন্য দ্বিতীয় ইউনিটের সঞ্চালন বন্ধ ছিল।

আদানি পাওয়ার (ঝাড়খন্ড) লিমিটেডের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, প্রি-কমিশনিং পরীক্ষার অংশ হিসেবে তারা আরও সাত দিন পূর্ণ ক্ষমতায় দ্বিতীয় ইউনিটটি সচল রাখবেন।

"ইউনিটটি ১৫ জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হবে," বিদ্যুৎকেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা বলেন।

গত ৯ এপ্রিল থেকে আদানির গোড্ডা ১,৬০০ মেগাওয়াট থার্মাল প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি বাংলাদেশে গড়ে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

আদানির প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম মূলত ২০২২ সালের জুলাই মাসে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কার্যক্রম একই বছরের ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা ছিল।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়ার পর বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান হিসাবে এসএস ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু তবুও সংকট কমেনি এস আলম প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। কয়লা সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বন্ধ হয়ে যায় এটি। এর মাত্র তিন দিন আগেই প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটের প্রি-কমিশনিং টেস্ট চালানো হয়।

এসএস পাওয়ারের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. ফয়জুর রহমান বলেন, "১৮ জুনের মধ্যে কয়লার একটি চালান আসার কথা আছে। সেটি আসলেই কেবল প্ল্যান্টটি আবার সচল করা সম্ভব হবে।"

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস ও ডলারের বিনিময় হার বাড়তে থাকায় জ্বালানী আমদানিতে সংকটের কারণে গত ৫ জুন দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।

বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নত করতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সম্ভাব্য সব বিকল্প দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টায় দেশে ঘণ্টার সর্বোচ্চ লোডশেডিং ছিল ২,৯৭৫ মেগাওয়াট; যা ৭ জুন ছিল ৩২০০ মেগাওয়াট।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু