মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির পর যেহেতু তীব্র দাবদাহ কমে এসেছে তাই আপাতত আর ছুটি বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাই রোববার থেকে যথারীতি ফের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন বলেন, তীব্র দাবদাহের কারণে বৃহস্পতিবার এক দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। গতকাল থেকে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসায় রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে। প্রাথমিক অধিদপ্তরের থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মনিষ চাকমা জানান, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সেটি আর বাড়ছে না। তবে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো মানতে হবে।
এদিকে বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবারের ছুটি কাভার করতে শনিবার পরীক্ষা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গরমের কারণে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর মাদরাসার দাখিল, কারিগরি অধিদপ্তরের অধীনে টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ বন্ধ দেওয়া হয়।
এর আগে তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৪ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার থেকে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। এই চার দিন শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়নি। এরপর মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইবতেদায়ী পর্যন্ত মাদরাসা বন্ধ করা হয়। এছাড়া যেসব দাখিল মাদরাসায় ইবতেদায়ি স্তর সংযুক্ত রয়েছে, সেসব মাদরাসায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
গরমে যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে স্কুল-কলেজগুলোকে কিছু নির্দেশনা পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ৫ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
১. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
২. শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে খেলাধুলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৩. শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিতে হবে। শিক্ষার্থী প্রয়োজনে নিজের সঙ্গে পানি নিয়ে আসবে।
৪. শ্রেণিকক্ষে আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. শিক্ষক মিলনায়তন ও কর্মচারীদের কক্ষে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট থাকলে জরুরি ভিত্তিতে তা মেরামত করতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম