তিনি বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। তাদের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে; কিন্তু মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এতে এটাই প্রমাণিত হয়, বিএনপি বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে না। আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। আমার মনে হয় এ ভোট থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কেননা তাদের দলীয় কর্মীদের ভোটে অংশগ্রহণে নিষেধ করেছেন। কিন্তু দেখা গেছে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা দুটি সিটি করপোরেশনের ভোটে প্রার্থী হয়েছেন এবং জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেননি।
খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আগামীতে সিলেট ও রাজশাহীতে যে ভোট হবে তারা সেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আপনি কি মনে করেন শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের পেছনে কোনো ইন্ধন বা কারণ আছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসলামী আন্দোলন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে- দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে; কিন্তু যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণের মতো ভোট পেয়েছেন। এতে তারা বুঝতে পেরেছেন আগামী দুই নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নেই। এ পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এটি করেছেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তদন্ত করছে। উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি তার মুখে ঘুসি লাগলেও রক্ত বের হয়নি। তবে একজন প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সবকিছু ছাপিয়ে অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন- বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব পত্রিকায় লিখেছে অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। সব টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। মির্জা ফখরুলের গৎবাঁধা কথা, তিনি একই টেপরেকর্ড থেকে রেব হতে পারছেন না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ ও আশপাশের দেশের নির্বাচনে, বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক সহিংসতা হয়, অনেক গন্ডগোল হয়। সেই তুলনায় সোমবারের নির্বাচন আমি মনে করি একেবারে একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যাবে না বলে নীতিমালা থাকলেও অনেকে এটি মানছেন না- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত কোনো আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল সংবাদ প্রচার করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, এ কথা সত্যি, কিছু আইপি টিভি, বেশিরভাগই অনিবন্ধিত এবং কিছু ইউটিউব চ্যানেল কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করছে, এটি আমাদের নজরে এসেছে, পত্রপত্রিকায়ও দেখেছি। এটির ব্যাপারে খুব সহসা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।