আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপ প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদ বিবেচনায় অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন (আইসিসি) বিভাগের প্রধান, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (সিআরএম) বিভাগের প্রধান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিবের (সিও) মতো শীর্ষ পদে যথাযথ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়সের উচ্চ সীমা অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছ নিশ্চিতকরণ, যোগ্য, সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগে ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। যা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন বিভাগের প্রধান, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা কোম্পানি সচিব ইত্যাদি পদসমূহের যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনায় বর্ণিত পদসমূহের যোগ্যতাও পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালায় উল্লেখ থাকতে হবে। এসব পদে নিয়োগের জন্য প্রাপ্ত আবেদন মূল্যায়নের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থাকতে হবে।
সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি একই সঙ্গে উপরোক্ত একাধিক পদে বহাল থাকতে পারবেন না। এসব পদে দায়িত্ব ও কর্তব্য সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ নীতিমালায় থাকতে হবে। আর এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত নিয়োগ প্রদানের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে জমা দিতে হবে এবং তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করতে হলে অব্যাহতি প্রদানের ১ মাস পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে তা নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
পাশাপাশি যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নথিতে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা পর্ষদের সভা আয়োজন করে অগ্রগতি দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।