সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিএনপি অভিযোগ করছে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারাী বাহিনীকে বিরোধীদের ওপর লেলিয়ে দিচ্ছে, ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারাী বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অগ্নিসন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিধায় তারা অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তারা শুধু সন্ত্রাসী-অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারাী বাহিনী ব্যবহৃত হচ্ছে না।
নির্বাচনকালীন সরকার কখন গঠন হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তিনিই এটি ঠিক করবেন।
বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না এবং বিএনপির সঙ্গে সরকার সংলাপ করবে কি না- এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। আমরা মনে করি বিএনপি দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য- এ নিয়ে সংলাপ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, প্রশ্নই ওঠে না।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধি রাখা হতে পারে কি না- এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সংসদে নেই, যদি সংসদে থাকতো হয়তোবা সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকতো, যদিও এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তারা তো সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছে এবং সংবিধান অনুযায়ী সেটি সম্ভবপর নয়।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন আরেকটি সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এটি কি ছোট আকারে সরকার হবে নাকি বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের সবাই থাকবে নাকি আমাদের শরিকদের মধ্যে থেকে কাউকে নেওয়া হবে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।