রাজধানীর নগরীর শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রযুক্তির মহাসড়কের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বছরে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার ৯০০ বিলিয়ন ডলার। অথচ আইসিটি খাতের বার্ষিক চাহিদা ৪০০০ বিলিয়ন ডলার। আমরা এ খাতে এক বিলিয়ন থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছি। পোশাকশিল্পের মতোই আমরা আইসিটি খাতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারব। তিনি বলেন, আমাদের বিশাল কর্মক্ষম যুবসমাজ রয়েছে, তাই এ সেক্টরে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে ধরা দিয়েছে। এটা সারা দেশে অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ফাইভজি শিগগিরই বাস্তবে রূপান্তর হবে।
তিনি বলেন, টেকনোলজির বহুমাত্রিক ব্যবহার করতে হবে। আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব এবং বাস্তবায়িত করব। দেশের তরুণ সমাজ অনেক বুদ্ধিদ্বীপ্ত, তরুণরা ফেল করবে না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমরা আর মিস করব না। আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে সবাইকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একদিকে শিল্পায়ন হবে অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা বাংলাদেশে উৎপাদন তৈরি করতে আসবে তাদের পণ্যটি দেখতে হবে। আমাদের প্রধান কাজ হবে আমরা এসব এলাকায় কত রাজস্ব অর্জন করতে পারব কতটা কর্মসংস্থান হবে। এ দুটি বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।
জাতির পিতাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনে বঙ্গবন্ধুর জন্য সর্বত্রই কিছু না কিছু কম্পোনেন্ট রাখা হয়েছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পতাকা থাকবে ততদিন এ দেশের মানুষের কাছে জাতির পিতাকে চিরস্থায়ীভাবে দেখতে চাই। তিনি বলেন, আমি আবারও বলব আমি স্বপ্ন দেখি যেমনিভাবে সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণ সমাজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, যেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। স্বাগত বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর উর রহমান।