মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন মারা যান। এর পরদিন শনিবার রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ জুলাই থেকে সিলেট তামাবিল সড়কে সব ধরনের বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১০ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জৈন্তাপুর -কানাইঘাট-গোয়াইনঘাট এলাকায় সব ধরনের বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটি।
১০ জুলাই রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির বৈঠক থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১৭ পরগনার কাছে পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল ও মালিক সমিতি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল রোড, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট রোডে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে। বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যাদি চলাচলে কেউ বাধা দেয় তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনতা তা প্রতিহত করবে। এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে পুরো জেলায় পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠন কর্তৃক ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।