পাঁচ মাসে দেড় লাখ কোটি টাকা আমানত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে

পাঁচ মাসে দেড় লাখ কোটি টাকা আমানত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি আমানত জমা পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত জমা পড়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আমানত জমা হয়েছিলো ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে ৩০ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।


আলোচিত এই সময়ে এজেন্টের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।


বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।


বর্তমান দেশে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৭৩টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৭৩টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ২১৬টি। এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।


প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো