রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশের হাতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) দুই সদস্যসহ ছয়জন সাংবাদিকের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ।
সোমবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপু সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পথচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের অসদাচারণের কারণ ও তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় মতিঝিলে পুলিশের হাতে শারীরিকভাবে ‘লাঞ্চিত’ হয়েছেন ডিআরইউ সদস্য জয়নাল আবেদীন খান, শেখ আবু তালেবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত আরও চারজন সাংবাদিক। এ ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
এতে বলা হয়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আবু তালেব, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়নাল আবেদীন খান, আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক রেদওয়ানুল হক, দেশ রুপান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক এ জেড ভূঁইয়া আনাস, অর্থসূচকের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সুলাইমান ও ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলি পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক আল ইহসান।
এসময় পুলিশের মতিঝিল থানার এএসআই মোর্শেদের নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় নাইমুল ও হুমায়ূন নামের দুজন কনস্টেবল দূর থেকেই মারমুখী ইঙ্গিত দিয়ে সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন। সাংবাদিকরা নিজেদের পরিচয় উল্লেখ চলে যেতে উদ্যত হন। এ সময় কস্টেবল হুমায়ূন আরও উত্তেজিত হয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। তাচ্ছিল্যর সুরে বলেন- আপনারা কোথাকার সাংবাদিক। এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন পুলিশ সদস্যরা।
বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের এভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ডিআরইউ পুলিশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম