২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকারদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। শুধু তাই নয়, হ্যাকারদের একটি ভুল টাইপের কারণে আরও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চাঞ্চল্যকর এই চুরির ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত তথ্যচিত্র 'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' এর ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে গতকাল।
ইউনিভার্সাল পিকচারস হোম এন্টারটেইনমেন্ট থেকে তৈরি এই তথ্যচিত্রে দেখানো হবে যে, ২০১৬ সালের এই চুরির ঘটনাটি কতটা বাস্তব ছিল এবং সারা বিশ্বের সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা কিভাবে সতর্ক হয়ে উঠেছিলেন। 'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' পরিচালনা করেছেন ড্যানিয়েল গর্ডন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা করে৷ শেষ পর্যন্ত ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনে স্থানান্তরে সক্ষম হয় হ্যাকাররা এবং ম্যানিলা-ভিত্তিক আরসিবিসি'র অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়।
'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট'-এ দেখানো হবে কিভাবে হ্যাকাররা 'ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন' ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে ১০১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলেছিল।
বিভিন্ন সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং লেখক মিশা গ্লেনির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্রে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবারক্রাইম কত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এই প্রক্রিয়া কতটা নিখুঁত হয়ে উঠেছে, সেটিই ফুটিয়ে তোলা হবে এই তথ্যচিত্র।
ট্রেলারে গ্লেনির দাবি, একটা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র মানবজাতির জন্য যেরকম বিপর্যয় সৃষ্টি করে, এ ধরনের পরিকল্পিত সাইবারঅ্যাটাকও একই হুমকি সৃষ্টি করে।
কিভাবে হ্যাকাররা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করলো, তা এই তথ্যচিত্রে বিস্তারিত দেখানো হয়েছে যা দর্শককে 'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' দেখতে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম