বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় মেয়র আতিক জানান, ডেঙ্গু রোধে বিভিন্ন বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কল সেন্টার থেকে ফোন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২৮ শতাংশ ‘ভেরি পজিটিভ ফিডব্যাক’ পেয়েছি। আর বাকি কল সেন্টার থেকে কল করলে ওনারা বলছেন, আমাদের বাসায় এসে আপনারা পরিষ্কার করে দিয়ে যান!
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, তাহলে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, আপনি (ভবন মালিক) কোনকিছু মানবেন না, এটা কথা হলো না। আপনাকে (মেয়র) অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেগুলো প্রয়োগ করুন।
এরপর মেয়র আতিক জানান, যেসব বাসাবাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছে এবং মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেবো।
তিনি বলেন, আমাদের সচেতনতা জরুরি। এর বিকল্প নেই। অভিযান পরিচালনার জন্য এসময় আরও ১০ বা ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট চান মেয়র। তিনি আরও জানান, গত ১১ দিনে এক কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, যেসব বাসায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে প্রথমে সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার জরিমানা এবং তৃতীয়বার পাওয়া গেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সভায় জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১২৭ জন মারা গেছেন। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪ হাজার মানুষ।