বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আসামির কাছ থেকে ৫০০ টাকা নোটের এক লাখ ২৯ হাজার টাকা উদ্ধা করা হয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ আসামি কয়েকটি নাম ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মতিন রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরআফজল গ্রামের আবদুর রউফ কামরুলের ছেলে। তিনি মতিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান মতিন ও মিজানুর রহমান মুতিন পরিচয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এজাহার সূত্র জানায়, মতিন ইয়াবা ও জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চরআফজল গ্রামের বাড়িতেই সেই ইয়াবা ও জাল টাকা রেখে ব্যবসা করে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মতিনের বাড়িতে র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের আভিযানিক দল অভিযান চালায়। তখন পালানোর সময় র্যাব মতিনকে আটক করে। এতে মতিন ইয়াবা ব্যবসা করে বলে স্বীকার করে। তখন তার ঘর থেকে ৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার শয়নকক্ষের বিছানার তোশকের নিচ থেকে ৫০০ টাকা নোটের তিনটি বান্ডেল উদ্ধার করা হয়।
জাল টাকা ও ইয়াবা উদ্ধারের পরদিন তখন র্যাব-১১-এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (ডিএডি) মো. বুরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মতিনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। একই বছর ১৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কেশব চন্দ্র চৌধুরী আদালতে মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।