প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সিঙ্গাপুর। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানায়, আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) চেঙ্গি কারাগারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারিদেউই জামানির (৪৫) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৮ সালে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
একই অপরাধে জামানির সহযোগী মোহাম্মদ আজিজ বিন হুসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় দুইদিন আগে।
বিশ্বে কঠোর মাদকবিরোধী আইন প্রয়োগকারী দেশের অন্যতম সিঙ্গাপুর। সমাজ রক্ষাকে চরম দণ্ডের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটি।
সিঙ্গাপুরের আইন সুনির্দিষ্ট করে জানায়, ৫০০ গ্রামের বেশি গাঁজা বা ১৫ গ্রাম হেরোইন পাচার করলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো (সিএনবি) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৮ সালের ৬ জুলাই জামানির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তার দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর নগররাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত জামানির আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়েও ব্যর্থ হন তিনি।
এদিকে সিঙ্গাপুরের মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকে। ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো বাধা নয়। টুইট বার্তায় বলেন, ছোট আকারের মাদক পাচারকারীদের সাহায্যের প্রয়োজন। কারণ তাদের বেশিরভাগই পরিস্থিতির শিকার।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ জানায়, জামানি সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারীর একজন। ২০০৪ সালে ইয়েন মে উয়েন নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছ, মাদকের ব্যবহার ও প্রাপ্যতার ওপর মৃত্যুদণ্ড কোনো প্রভাব ফেলেছে এমন প্রমাণ নেই। এই মৃত্যুদণ্ড এ বার্তা দেয় যে সিঙ্গাপুর সরকার মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে ইচ্ছুক।
সংস্থাটি আরো জানায়, চীন, ইরান ও সৌদি আরবের পাশাপাশি চতুর্থ দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর সম্প্রতি মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম