হাজিদের ৯৭ হাজার রুপি করে ফেরত দিচ্ছে পাকিস্তান

হাজিদের ৯৭ হাজার রুপি করে ফেরত দিচ্ছে পাকিস্তান

চলতি বছর সরকারি স্কিমে পবিত্র হজ পালন করা প্রত্যেক হাজিকে ৯৭ হাজার রুপি করে ফেরত দিচ্ছে পাকিস্তান। খরচ সাশ্রয়ী পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তানের হজযাত্রীরা এই অর্থ ফেরত পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী।


শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি স্পনসর্ড স্কিমের মাধ্যমে চলতি বছর হজ পালনকারী লাখো পাকিস্তানি হাজিকে ১২০০ কোটি রুপি ফেরত দেবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী সেনেটর মুহম্মদ তালহা মেহমুদ।


এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সৌদি আরবে চলতি বছর পাকিস্তান সরকারের হজের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী তালহা মেহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, কার্যকর খরচ সাশ্রয়ী পদক্ষেপের কারণে হজযাত্রীরা আগামী সপ্তাহেই তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের হজের খরচের আংশিক অর্থ ফেরত পাবেন।


আগামী বুধবার পাকিস্তানে চলতি বছরের শেষ ফিরতি হজ ফ্লাইট পৌঁছাবে এবং এর মাধ্যমে সরকারি হজ কার্যক্রমের সমাপ্তি হবে। আর এর এক সপ্তাহ আগে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চলতি বছর ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি হজ করেছেন জানিয়ে এই মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আগামী বছরের জন্য ১ লাখ ৭৯ হাজার ২১০ জন হজযাত্রীর কোটা পেয়েছে।


মন্ত্রী তালহা মেহমুদ বলেন, প্রত্যেক হজযাত্রী ৯৭ হাজার রুপি করে ফেরত পাবেন। তিনি আরও বলেন, ‘২২ হাজার ৬০০ হাজি মিনায় জায়গা পাননি বা ট্রেন সুবিধা নিতে পারেননি। তাদের জনপ্রতি অতিরিক্ত আরও ২১ হাজার রুপি করে ফেরত দেওয়া হবে।’


তিনি বলেন, ‘একইভাবে মদিনার মারকাজিয়ার বাইরে বসবাসকারী ১৮ হাজার হজযাত্রীকে জনপ্রতি অতিরিক্ত আরও ১৪ হাজার রুপি করে ফেরত দেওয়া হবে। এটি হজযাত্রীদের নিজস্ব অর্থ যা তাদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’


পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মদিনায় থাকার ব্যবস্থা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের ১ লাখ ১১ হাজার রুপি ফেরত দেওয়া হবে। যারা মাশাইর ট্রেন ব্যবহার করতে পারেনি তাদের ১ লাখ ১৮ হাজার রুপি ফেরত দেওয়া হবে এবং হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের মদিনার কেন্দ্রীয় অবস্থান থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১ লাখ ৩২ হাজার রুপি পাবে।’


কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, মারকাজিয়ার অনেক ভবন সৌদি সরকার ভেঙে দিয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তান হাউসের দু’টি ভবনও রয়েছে। সেই কারণে মারকাজিয়া থেকে ‘আমাদের আবাসিক ভবনগুলো দূরে সরিয়ে নিতে হয়েছিল’ বলে জানান তিনি।


মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ৭৮ শতাংশ হজযাত্রীকে মদিনার পবিত্র স্থানগুলোর নিকটবর্তী স্থানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৬৩ শতাংশ হজযাত্রীকে মিনায় ভ্রমণের জন্য মাশাইর ট্রেনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল এবং ৪৭ শতাংশ হাজি পুরোনো মিনায় তাদের অবস্থান উপভোগ করেছেন।


চলতি বছর পাকিস্তান থেকে প্যাকেজের পরিমাণ ছিল দক্ষিণাঞ্চলের জন্য জনপ্রতি ১১ লাখ ৬৫ হাজার রুপি এবং উত্তর অঞ্চলের জন্য ১১ লাখ ৭৫ হাজার রুপি করে। মন্ত্রী তালহা মেহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই সরকারি স্কিমের হজযাত্রীদের জনপ্রতি ৫৫ হাজার রুপি করে ফেরত দিয়েছি। আমরা হজযাত্রীদের প্রতিটি পয়সা ফেরত দেব।’


এক প্রশ্নের জবাবে মেহমুদ বলেন, বেসরকারি হজ অপারেটরদের কর্মকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে হতাশ। তিনি বলেন, বেসরকারি হজ অপারেটররা প্রত্যেক হজযাত্রীর কাছ থেকে ২৫ লাখ রুপি করে নিয়েছে কিন্তু সৌদি আরবে নেওয়ার পর তাদের প্রতিশ্রুত পরিষেবা প্রদান করেনি।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া