চীন বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল আমদানিকারক। দেশটির বাণিজ্যিক ও কৌশলগত মজুদে গত মাসে দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেল করে জ্বালানি তেল যোগ হয়েছে, যা ২০২০ সালের জুনেরর পর সর্বোচ্চ। এ বছরের মে মাসে মজুদে যোগ হয়েছিল দৈনিক ১৭ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনের মজুদ অবকাঠামোগুলোয় প্রতিদিন ৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল যোগ হয়েছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। ওই সময় মজুদ অবকাঠামোগুলোয় প্রতিদিন যোগ হয়েছিল ৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। বছরের প্রথমার্ধে পরিশোধন কার্যক্রম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলেও দেশটি মজুদ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি এ বছর বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সম্প্রতি দেশটির কাস্টমসের তথ্যসূত্রে এ চিত্র দেখা গেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা কিছুটা কম থাকা সত্ত্বেও পরিশোধক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বেশকিছু মজুদ গড়ে তুলছে বলে জানা গেছে।
জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য বলছে, জুনে অপরিশোধিত তেলের আমদানি ছিল দিনপ্রতি ৫ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টন বা ১ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। মাসিক হিসাবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডের চিত্র, যা আগের বছরের জুনের তুলনায় ৬৭ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল বেশি।
অপরিশোধিত তেল আমদানির চিত্র মাসওয়ারি হিসাবেও বেশ ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে, গত মে মাসের তুলনায় জুনে এটা বাড়তে দেখা গেছে দিনপ্রতি ১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল। বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ২১ লাখ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের ২৫ কোটি ২৫ লাখের তুলনায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস বাড়িয়েছে রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও আগামী বছরের চাহিদা নিয়ে আশাবাদী জোটটি। কারণ চীন ও ভারত অব্যাহত জ্বালানির ব্যবহার বাড়াচ্ছে।