বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী দুই বছরের জন্য তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
ড. মাহমুদা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক। তিনি ২০২০ সালের ৩ আগস্ট তিন বছরের জন্য বিআইসিএম’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট পদে যোগদান করেন।
চলতি বছরের ০২ আগস্ট এ পদে তাঁর চাকরির মেয়াদ ০৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁর চাকুরীর মেয়াদ আজ ৩ আগস্ট হতে ২০২৫ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত দুই বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০০ সালে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পিএইচডি অর্জন করেন। এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতকোত্তর করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে স্নাতক ও ১৮৮৮ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. মাহমুদা আক্তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুই জায়গায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি উভয় পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের চারটি বিভাগের মধ্যেও প্রথম স্থান অর্জন করেন। এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে চ্যান্সেলর পুরস্কার, ১৯৮৪ অর্জন করেন।
প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিংয়ের (এমপিএ) পরিচালক, পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) কাউন্সিলর, বিডিবিএল ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান, আইসিএবির বিভিন্ন বোর্ডের সদস্য, এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম