এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো নারীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক ও সামাজিক বাধাগুলো দূর করা। এছাড়াও এই প্রোগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার এবং পারসনস লিভিং উইথ ডিসঅ্যাবিলিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠায় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিরই অংশ।
২০১০ সাল থেকে তাদের স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করে শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই স্কলারশিপটিকে নারীভিত্তিক করার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের উচ্চশিক্ষায় লিঙ্গ অসমতা দূর করে, বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় বিদ্যমান নারী-পুরুষের ৪২:৫৮ অনুপাতে পরিবর্তন আনা।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “বৃহত্তর ব্র্যাক পরিবারের অধীন একটি মূল্যবোধভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, নারী শিক্ষা এবং সমাজে নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যাক ব্যাংক।” তিনি আরও বলেন, “এই স্কলারশিপটিকে আমরা একটি সামাজিক বিনিয়োগ হিসাবে দেখছি, যা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের দেশকে উপকৃত করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে নারীদের স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাবনায় বিশ্বাস করি। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আমরা অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে একটি ন্যায় এবং সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখার লক্ষ্য রাখি।”
ব্র্যাক ব্যাংক ইতিমধ্যেই কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) উদ্যোগের আওতায় মাসিক উপবৃত্তি প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তি করেছে। একইসাথে দেশের অন্যান্য স্থানেও এই প্রোগ্রামটি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেশকিছু সংস্থার সাথে যুক্ত হওয়ারপরিকল্পনা চলমান রয়েছে।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুসের (জিএবিভি) সদস্য হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রমাগত সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে জীবন এবং সমাজে স্থায়ী উন্নয়ন নিয়ে আসে। ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, শিক্ষাই বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি। সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের দৃঢ় অঙ্গীকারের পথে এই উদ্ভাবনী স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি আরেকটি মাইলফলকস্বরূপ।