এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের যে দুটি ভাসমান টার্মিনাল রয়েছে, তার একটি পরিচালনা করছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল লিমিটেড। অন্যটির পরিচালনায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড।
এই দুটি কোম্পানির মোট সরবরাহ ক্ষমতা ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে আন্তর্জাতিক খোলা বাজার এবং কাতার ও ওমান থেকে কেনা এলএনজি এসব টার্মিনালের মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে।
নতুন করে সামিট ও এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত হলে টার্মিনাল সুবিধার পাশাপাশি এলএনজি সরবরাহ ব্যবসায়ও যুক্ত হতে পারবে এই দুই কোম্পানি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিন উল আহসান বলেন, এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের কাছ থেকে ২০২৬ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় ১৫ বছর মেয়াদে ১ থেকে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে সামিট ওয়েল অ্যান্ড শিপিংয়ের কাছ থেকে ২০২৬ সাল থেকে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে এই দুটিসহ মোট চারটি প্রস্তাব অনুমোদন পায় বলে জানান অতিরিক্ত সচিব আমিন।
বাকি দুটির একটি হচ্ছে ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টার্বাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসর মেরামত সেবা জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা।
অর্থসংবাদ/এমআই