বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, জেলার ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এরপরের অবস্থান পেকুয়া। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এছাড়া উখিয়ায় দুইজন এবং রামুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সড়ক বিভাগের ৫৯ কিলোমিটার সড়ক এবং এলজিইডির ৮০.৭৫ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা ও ৪৭টি ব্রিজ/কালভার্ট বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। পানি নেমে গেলে আর্থিক মূল্য জানা যাবে। এছাড়া দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের কিছু স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলায় ১৫ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ফসলি জমি, ১ হাজার ৭৫২টি পুকুর/ দীঘি/ খামার, ১ হাজার ৮৩২টি মৎস্য ঘের, ২৬২ মেট্রিক টন ফিন ফিশ, ৭০০ মেট্রিক টন চিংড়ি, ৯.৯৫ মেট্রিক টন পোনা ও ১৭৯টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, মৃত ২০ জন ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০৩ মেট্রিক টন চাল, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১ কোটি ৭ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।